"উনি আমার 'মা' "
হযরত মুসা (আঃ) এর জামানার চমৎকার একটি
ঘটনা।
হযরত মুসা (আঃ) একবার আল্লাহ্
তায়া'লা কে জিজ্ঞেস করলেন,
হে আল্লাহ্!
জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে.?
জবাবে বলা হলো, ঐ ওমুক এক কসাই থাকবে !
জবাবে কসাইয়ের নাম শুনে মুসা (আঃ)
খুবই আশ্চর্য হলেন।
অনেক খোঁজ করার
পর মুসা (আঃ) তাকে বের করলেন।
দেখলেন, কসাই গোস্ত বিক্রিতে ব্যাস্ত !
সর্বশেষে কসাই একটুকরো গোস্ত একটি
কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন।
অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন।
মুসা (আঃ) তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্যে
অনুমতি নিয়ে তাঁর সাথে বাড়ি গেলেন।
কসাই বাড়ি পৌঁছে গোস্ত রান্না করলেন।
অতপর রুটি বানিয়ে তা গোস্তের ঝোলে
মেখে নরম করে নিলেন।
তারপর তিনি ঘরের ভিতরে কামরায় প্রবেশ
করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন,
তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে করে খাইয়ে
দিতে লাগলেন।
খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানে কানে বললেন,
অমনি কসাই মুচকি হাসলেন।
দূর থেকে মুসা (আঃ) সব-ই দেখছিলেন।
কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না।
মুসা (আঃ)বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার
বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন।
কসাই বললেন,ওনি আমার 'মা'।
আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম
আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই।
আর, 'মা' খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার
কানের কাছে এসে আল্লাহ্ তায়া'লার কাছে
এই বলে দোআ করেন, "আল্লাহ্ তায়া'লা
তোমাকে বেহেস্ত দান করুক এবং মুসা (আঃ)
এর সাথে রাখুক"!
আমি এই দোআ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি
যে, কোথায় মুসা (আঃ)আর কোথায় আমি।
ইশ সে কত ভাগ্যবান,সে কত দামি হয়ে গেল
মায়ের খেদমত করার জন্য।
ইয়া আল্লাহ আমাদের মন মানষিকতা পরিবর্তন করার তাওফিক দাও আর আল্লাহ তায়া'লা যেন আমাদের মা বাবার খেদমত
করার তাওফীক দান করেন আমীন।
(আমরা এই ঘটনা থেকে দারুণ একটি শিক্ষা নিতে পারি এবং আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য পিতামাতার দোয়া অব্যশই কাজে লাগিয়ে জীবনে সাফল্য বয়ে আনতে পারি।)
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

"""""ম্যাডাম যখন বউ""""""

"""""""ম্যাডাম যখন বউ"""""" আমি মেঘ পরিবার বলতে আব্বু আম্মি ভাইয়ার আর ভাবি।। আমি কলেজে উঠেছি অনেক ঝড় ঝাপটা পেড়িয়ে।।। বুঝলেন না তো তাহলে চলুন সব খুলে বলি।।। এই আপনারা এটা আবার ভাব্বেন বা যেন আমি আমার সব জামা কাপড় খুলে বলবো ব্যাপার টা হছে হচ্ছে আমি সেই ক্লাস ৫ থেকে প্রতি ক্লাস এ দুইবার করে থেকেছি।।। যার কারনে অনেক আমাকে আদুভাই ২ বলে ডাকে।।। ডাকবেই না বা কেনো বলেন এক ক্লাস এ দুইবার করে থাকলে যে কেউ আমাকে আদুভাই বলে তো ডাকবেই।।। আগে ডাক গুলো খারাপ লাগলেও এখন কেনো জানিনা খারাপ লাগে না।।। যাইহোক আমি এবার অনেক কষ্ট করে কলেজে ২য় বর্ষে পা দিয়েছি।। আমার তেমন কোনো বন্ধু বান্ধব নেই থাকবেই বা কি করে আমি তো আদুভাই।। একেবারেই যে বন্ধু বান্ধব নেই তা কিন্তু না।। হাতে গোনা কিছু বন্ধু আমার আছে যাকে বলে প্রানের বন্ধু।। কিন্তু আমার কোনো মেয়ে বন্ধু নেই।। মেয়েদের সাথে মিশতে আমার কেমন জানি লাগে।। এখনো পর্যন্ত প্রেম নামক শব্দটি আমার জীবনে আসে নাই।।। তো প্রতিদিন এর মতো কলেজ ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি।। তখন দেখলাম নতুন একটি মেয়ে কলেজের ...
Read more

অসাধারণ এক জন রিক্সাওয়ালার গল্প।

Image
রিক্সা চালাই। বিয়ে করেছিলাম আজ থেকে এক বছর আগে।আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি। , অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছিলো ও।বুঝতে পারি বউ আমায় খুব ভালবাসে। আমি যখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরি,ও আমার জন্য গোছলের পানি তুলে দেয়।মাঝে মাঝে আমিও অবশ্য তুলে দেই। বাড়িতে কারেন্ট নাই,খেতে বসলে ও পাখা দিয়ে বাতাস করে। গরমের রাতে দুজনে অদল বদল করে পাখা দিয়ে বাতাস করি,ভবিষ্যৎটাকে সাজানোর গল্প করি দুজনে। গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম বুঝতে পারতামনা। রিক্সায় বড়বড় সাহেবরা তাদের বউকে নিয়ে উঠত। দুজনে মিলে অনেক গল্প করত। সাহেবদের কাছে শুনতাম তারা যেদিন বিয়ে করেছে সেদিন আসলে তারা নাকি অনুষ্ঠান, পার্টি না কি জানি করে। এই সব আমার জানা নেই। যখন শুনতাম আমারো ইচ্ছে করত বউকে একটা শাড়ী কিনে দিতে। বউকে যে খুব ভালবাসি আমি। কিন্তু পারিনা।অভাবের সংসার, দিন আনি দিন খাই।তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম।ওটাতে রোজ দু'চার টাকা করে ফেলতাম। , দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা বছর হয়ে গেল। আজ সকালে রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গ...
Read more

বাহরাইনে মসজিদের ঈমামকে খুন করেছে বাংলাদেশি এক মুয়াজ্জিন

Image
বাহরাইনে মসজিদে শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাই দলের কাজে বাধা দেয়ায় ইমাম খুন। খুনি শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাই বাহরাইন শাখার দায়িত্বশীল কামাল উদ্দিন। শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাইর কেন্দ্রীয় নেতারা বাহরাইনে তার বাসায় থাকতো। ছবিতে দেখেন শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাইর মহাসচিব তার সাথে ছবিতে। সূত্রমতে মসজিদে নিয়মিত শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কার্যক্রম ও তৎপরতা চালানোয় ইমাম সাহেব তাকে বারংবার নিষেধ করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে ইমাম সাহেবকে হত্যা করে তার লাশ একাধিক টুকরো করে বস্তায় ভরে। মসজিদের মুয়াজ্জিন কামাল উদ্দিন হত্যা শেষে বস্তা ভরা লাশ ডাস্টবিনে ফেলে আসতে গেলে সেখান থেকে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। বাহরাইনের পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সেখানের বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যেকোনো সময় বাংলাদেশিরা ধরপাকড়ের শিকার হতে পারে। এদিকে ইতিপূর্বে সৌদি আরবে মসজিদে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনকালে গ্রেফতার হয়েছিলেন দলটির নায়েবে আমীর পীর সাহেব ফয়জুল করীম। দলটির উপর সদস্যদের কর্মকাণ্ডে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের মাধ...
Read more